সাবনেটিং(Sub Netting): সাবনেটিং হল একটি নেটওয়ার্ক কে অনেকগুলো সাবনেটনেটওয়ার্কে বিভক্ত করা। সাবনেটিং করার কারন
হল, পৃথিবীতে সীমিত সংখ্যক আইপি থাকা। বর্তমানে
ব্যাবহৃত IPV4 এ মোট বিটসংখ্যা ৩২ টি । এখান থেকে মোট 2^32 আইপি উৎপন্ন করা সম্ভব। যা হিসেব করলে দাঁড়ায় চার বিলিয়নের কিছু বেশী।
কিন্তু পৃথিবীতে লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়নের মত। আবার একেকজন একাধিক ডিভাইস
ব্যাবহার করে। তার মানে সর্বমোট জনসংখ্যার তুলনায় ৪ বিলিয়ন আইপি কিছুই না। সাবনেটিং করার আগে আগে বেসিক আইপি অ্যাড্রেসিং সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
কোন আইপিকে সাবনেটিং করার আগে কয়েকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবেঃ
১। আইপিটি কোন ক্লাসের
২। ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক কত
সাবনেট মাস্কঃ ইতোমধ্যেই আমরা জানি কোন ক্লাসের ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক কতঃ
Class
|
Default Subnet Mask
|
A
|
255.0.0.0
|
B
|
255.255.0.0
|
C
|
255.255.255.0
|
সাবনেট করার পর যেসব জিনিস পাওয়া যায়ঃ
১। সাবনেটওয়ার্ক
২। হোস্ট
৩। ব্রডকাস্ট অ্যাড্রেস
কোন নেটওয়ার্ক থেকে কি পরিমান নেটওয়ার্ক, হোস্ট বা ব্রডকাস্ট পাওয়া যাবে তা নির্ভর করে
সংশ্লিষ্ট আইপির উপর। তা বের করার কিছু নিয়ম আছেঃ
মোট সাবনেটওয়ার্ক(Total Subnet): 2^given CIDR-Default CID
মোট হোস্ট(Number Of Host per subnet): 2^number of
Unmask bits
সাবনেটিং করার নিয়ম(Rules Of Subnetting):
১। সাবনেট মাস্কঃ প্রথমে দেখতে হবে CIDR কত দেওয়া আছে। সে
অনুযায়ী সাবনেট মাস্ক লিখতে হবে। যেমন,
192.168.10.0/26
Subnet
Mask: 11111111.11111111.11111111.11000000
একে ডেসিমেলে লিখলে এমন হবেঃ 255.255.255.192
যদি কোন CIDR দেওয়া না থাকে তাহলে ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক ব্যাবহার
করতে হবে। যদি CIDR না দেওয়া থাকতো তাহলে সাবনেট মাস্ক হত 255.255.255.0 কারন আইপিটি C ক্লাসের এবং আমরা জানি C ক্লাসের ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক 255.255.255.0
২। ব্লক সাইজঃ
সাবনেট মাস্ক লেখার পর ব্লক সাইজ বের করতে হবে। ব্লক সাইজ বের করতে
হলে ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক এর পরের সবগুলো অক্টেট কে ২৫৬ থেকে বিয়োগ দিতে হবে।
যতগুলো ব্লক সাইজ বের হবে শুন্য থেকে শুরু করে তাদের সর্বোচ্চ কম্বিনেশনে গুনিতক
আকারে বাড়তে থাকবে। এটা করার সহজ উপায় হচ্ছে ব্লক সাইজ যোগ করে সামনে এগোনো। তবে
অবশ্যই সেটা ওই অক্টেটের ভেলুর চেয়ে বেশী বা ২৫৬ হতে পারবেনা।
যেমন,
192.168.10.0
Subnet Mask: 255.255.255.192
আমরা জানি প্রথম তিন অক্টেট পর্যন্ত C ক্লাসের ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক। তারমানে আমাদের
চতুর্থ অক্টেট থেকে ব্লক সাইজ বের করতে হবে।
Block
Size: 256-192 = 64
তাহলে সাবনেটওয়ার্ক অ্যাড্রেসগুলো হবেঃ 0 64 128
192
এখান থেকে চারটির বেশী নেটওয়ার্ক হবেনা (2^26-24= 4)।
ব্রডকাস্ট অ্যাড্রেসঃ ব্রডকাস্ট অ্যাড্রেস হল প্রতিটি সাবনেটের পরের
সাবনেট-১। তাহলে উপরের হিসেবে ব্রডকাস্টগুলো হবেঃ
সাবনেটওয়ার্ক(SUBNET):
0
64
128
192
ব্রডকাস্ট(BROADCAST) :
63
127
191
255
হোস্ট(Host): হোস্ট হল সাবনেট অ্যাড্রেসের
পর থেকে শুরু করে ব্রডকাস্ট অ্যাড্রেসের আগ পর্যন্ত যতগুলো সংখ্যা
আছে সবগুলোই। অন্যভাবে বললে সাবনেট অ্যাড্রেস+১ থেকে শুরু করে ব্রডকাস্ট
অ্যাড্রেস-১ রেঞ্জের মধ্যে যতগুলো আছে সবগুলোই।
Sub network
|
0
|
64
|
128
|
192
|
Broad Cast
|
63
|
127
|
191
|
255
|
Host Range
|
1-62
|
65-127
|
129-190
|
193-254
|
রিক্যাপঃ
Network
Address: 192.168.10.0/26
Broad Cast: 11111111.11111111.11111111.11000000
Broad Cast: 255.255.255.192
Number
Of Subnet: 2^26-2^24= 4
Number
of Host Per subnet: 2^6= 62
Sub network
|
0
|
64
|
128
|
192
|
Broad Cast
|
63
|
127
|
191
|
255
|
Host Range
|
1-62
|
65-127
|
129-190
|
193-254
|
লক্ষ্যনীয়ঃ সাবনেট করার পর যেসব সাবনেট
হোস্ট বের হবে তা সবসময় ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক এর পরের অক্টেটগুলোতে প্রভাব ফেলবে।
ডিফল্ট সাবনেট মাস্ক পর্যন্ত সবগুলো অক্টেট অপরীবর্তনীয় থাকে।
সাবনেটিং এর কয়েকটি সমাধান ব্যাখ্যাসহ পাওয়া যাবে এখান থেকে। দেখার পর সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
সাবনেটিং এর কয়েকটি সমাধান ব্যাখ্যাসহ পাওয়া যাবে এখান থেকে। দেখার পর সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment